যদি বলি কি হবে এই বিজয় দিবস দিয়ে! নিশ্চয় রেগে যাবেন! কিন্তু নিজের কাছে একবার প্রশ্নটা করেন!
কিসের জন্য এই উৎসব? কোথায় সেই বিজয়? আমার ভাইয়ের রক্তের উপর যে সবুজ ঘাস
জন্মেছে সে জন্য এই উৎসব? নাকি এক মুক্তিযোদ্ধা বাবা আজ রক্ত কাঁশতে
কাঁশতে রিকশা চালাচ্ছে সেই উল্লাসে? আহা! বড় কষ্ট লাগে যখন দেখি দরিদ্র,
পঙ্গু, নুয়ে পড়া মুক্তিযোদ্ধারা ময়লা কুচকানো পাঞ্জাবী পড়ে সেমিনারের প্রথম
সারিতে বসে আছেন, আর রাজদরবারের মত দশফুট উচু অশ্লীল মঞ্চে বসে আছেন কোন
রাজাকার এক মন্ত্রী! শুকরের মত চর্বিযুক্ত ঐ মন্ত্রী নামক মাংসপিন্ডটা যখন
তার লোমশ হাতে দরিদ্র
মুক্তিযোদ্ধার হাতে ক্রেষ্টতুলে দেন, আর দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা বোকার মত হাসতে হাসতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকেন, তখন বিজয় দিবস শব্দটা আমার কাছে পৃথিবীর নোংরাতম শব্দ মনে হয়। বোধ করি বীর শহীদরা তখন অট্টহাসীতে ফেটে পড়েন, কারন তাদের এই অশ্লীল অনুষ্ঠানের ভেতর দিয়ে যেতে হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধার হাতে ক্রেষ্টতুলে দেন, আর দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা বোকার মত হাসতে হাসতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকেন, তখন বিজয় দিবস শব্দটা আমার কাছে পৃথিবীর নোংরাতম শব্দ মনে হয়। বোধ করি বীর শহীদরা তখন অট্টহাসীতে ফেটে পড়েন, কারন তাদের এই অশ্লীল অনুষ্ঠানের ভেতর দিয়ে যেতে হয়নি।
কে না জানে ১৭ ডিসেম্বারে আবারো রাস্তায় ভিক্ষারত দেখা যাবে সেই
মুক্তিযোদ্ধাকে যে ১৬ তারিখ বসে ছিলেন কোন এক সেমিনারের প্রথম সারিতে। কে
না জানে যে মন্ত্রীর অশ্লীল হাত ক্রেষ্ট তুলে দিয়েছিলো সেই হাতে স্বাক্ষরিত
হবে কোন দৃর্ণীতির চুক্তি। যে চুক্তিতে ধর্ষিত হবে দেশ বছরের পর বছর। আর
আমাদের পদ্য আর গদ্য সাহিত্যিকরা কি করেন! উনারা কদম ফুল কল্পনা করেন শুধু
বর্ষার প্রথম দিনে।
শরতের মেঘের তুলা না ভাসলে কাঁশফুলও যে দোলে না তাদের মনে! এই অশ্লীল কবিরা
তিন মাস লেখে আদিরসের কবিতা, দুমাস লেখে বর্ষার কবিতা। আর চারমাস ব্যস্ত
থাকে......{কথাটা না হয় নাই বললাম}।
হায় মুক্তিযুদ্ধ! হায় মুক্তিযোদ্ধা, হায় অভাগা শহীদ! তোমাদের জন্য কবিরা
দয়া করে বরাদ্দ করেছেন একটি দিন! ১৬ ডিসেম্বার! অশ্লীল ৫০০০ হাজার কবিতায়
আর ৮০০০ গদ্যে ভ'রে উঠবে, পত্রিকা, দেয়াল আর ব্লগ!যে পত্রিকায় যে ব্লগে
ছাপা হবে তার লেখা সেই পত্রিকায়ই ছাপা হবে জামায়াত
ইসলামির নিজামির বিবৃতি! আর বৃহন্নলা লেখকের দল আত্নপ্রসাদে ভুগবেন এই ভেবে
যে গত এক সপ্তাহের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে! বিজয় দিবসের লেখাটা শেষ
হয়েছে!!!!
খুব জানতে ইচ্ছে করে কলেজিয়েট স্কুলের ঐ দশম শ্রেনীর ছাত্রটি যে বুকে গুলি খেয়ে
মরে পড়েছিলো কোন এক জলাভূমিতে,যে গুলিটি সে বুক দিয়ে ঠেকিয়েছে, মায়ের গায়ে
লাগতে দেয়নি। কেমন আছে সে! ভাই, তুমি কি দেখতে পাচ্ছো তোমাদের নিয়ে বিজয়
দিবসে কতবড় নাটক মঞ্চায়িত হচ্ছে দেশে!তোমাদের মা আজ ১৪ বছর ভাত খায় না
কারন তুমি জেলে মৃত্যুর আগে ভাত খেতে চেয়েছিলে। তোমাদের মা আজ ১৪ বছর
মাটিতে শুযে ঘুমায়, কারন তুমি জেলে শক্ত মেঝেতে পড়েছিলে মৃত্যুর আগের দিন
পর্যন্ত। তোমার মা আজ ছেড়া স্যান্ডেল পড়ে সংয়ের মত বসে থাকে সেমিনারে। আর
ভন্ডের দল বক্তৃতা দিয়ে যায়।
হায়! আর কত অশ্লীল নাটক দেখতে হবে বিজয় দিবস নিয়ে! আর কত তামাশা!আর নয় -
এইবার যুদ্ধে যাব যদি দেখি দেশটা পরাধীন,
এই আবার গর্জে উঠব যদি দেখি আমরা মুক্তিহীন,
পৃথিবী ভুলেনি সে কথা রক্ত দিয়ে কিনেছি স্বাধীনতা!!
আবার শৃঙ্খল ভাঙ্গব যদি আসে শত্রুর পদাঘাত,
এই আবার প্রহরী হব যদি ডুবে যায় সূর্য প্রভাত,
মরতে শিখেছি যখন মরণে ভয় কি এখন!!!
0 comments:
Post a Comment