jewelheron2@gmail.com

Monday, February 18, 2013

উত্তাল শাহবাগ নেপথ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার

প্রযুক্তি যেন চাপা পড়া সত্যের মুক্তির এক অমোঘ হাতিয়ার। শাহবাগের তারুণ্যের এই দাবির মেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। কী নেই সেখানে? ভিডিও ক্যামেরা বসিয়ে চালু করা হয়েছে ওয়েভ স্ট্রিমিং। চলছে ব্লগিং, ফেসবুকিং, গুগুল প্লাসিং। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে রিপোর্টাররা বলে চলেছেন তরুণদের আন্দোলনের বার্তা। প্রায় প্রতিটি টেলিভিশনই সরাসরি দেখাচ্ছে আন্দোলনের ভিডিও। আর প্রতিটির একই সুর, একই কথা, ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। এক নজরে আপনাদের দেখিয়ে দিচ্ছি প্রযুক্তির কল্যাণে কিভাবে শাহবাগ হয়ে ওঠে এতটা উত্তাল -

2013-02-14-17-12-45-511d1b0dde6f0-20

=>অনলাইন থেকেই শুরু হয় প্রথম প্রতিবাদ। ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার পর তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অনলাইন মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানানো শুরু করেন ব্লগার, অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা। এরপর রাজপথে নামেন তাঁরা এবং পরের ঘটনা হয়ে উঠল ইতিহাস।
=====================================
ফেসবুক থেকে আন্দোলনের শুরু
  • রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে আন্দোলনের শুরুটা হয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকের ইভেন্ট (http://goo.gl/lndua) থেকে। এতে সাড়া দিয়ে শাহবাগে প্রথমে মানববন্ধন, পরে মিছিল নিয়ে সবাই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।
=====================================
ব্লগে আলোচনা
  • রায় ঘোষণার পর প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ শুরু হয় বাংলা ব্লগসাইটগুলোতে।
  • প্রথম আলো ব্লগ (www.prothom-aloblog.com),
  • সামহোয়্যারইন ব্লগ (www.somewhereinblog.net),
  • আমার ব্লগ (www.amarblog.com),
  • সচলায়তন (www.sachalayatan.com),
  • আমরা বন্ধুসহ (www.amrabondhu.com)
  • আরও বিভিন্ন ব্লগে ব্লগাররা লেখেন বিভিন্ন প্রতিবাদী ব্লগ। মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন ব্লগে আন্দোলনের বিভিন্ন হালনাগাদ নিয়ে পোস্ট নির্বাচিত করা হয়। এ ছাড়া ব্লগের ব্যানারেও আসে প্রতিবাদী ছবি।
=====================================
No comments

Friday, February 8, 2013

২০১৩ সালের দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধের এই চেতনা আমাদের আগামীর পথচলার আরেকটি প্রেরণা

আমি ৫২ দেখি নি, আমি ৬২ দেখি নি, আমি ৬৯ দেখি নি, আমি ৭১ দেখি নি কিন্তু তবুও আমি আমার দেশের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলাম কারণ আমি ২০১৩ দেখেছি, আমি দেখেছি লাখো তরুন তরুনীদের মহাসমুদ্র যে সমুদ্র আমাকে ৫২, ৬২, ৬৯, ৭১ না দেখার এর দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে। আমি আজ ইতিহাসের সাক্ষী হলাম। আমি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বলতে পারবো, "হ্যাঁ আমিও ছিলাম ২০১৩ এর রাজাকার বিরোধী আন্দোলনে"...সত্যিই এ অনুভবটা অসাধারণ!!!
আসুন আমরা তরুণরা সবাই এক হই, শুধু রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের বিরুদ্ধে নয়, রুখে দাঁড়াই সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে...! ২০১৩ সালের দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধের এই চেতনা আমাদের আগামীর পথচলার আরেকটি প্রেরণা ।
No comments

Tuesday, February 5, 2013

যাদের জন্য বিশ্ব না হোক অন্তত বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে

আমরা যারা তরুন প্রজন্ম আমি তাদের কথাই বলছি।আমাদের কাছে দেশ মানে একটি আবেগের নাম।দেশ নিয়ে অনেক চিন্তা আমাদের মধ্যে।আমাদের চেষ্টা থাকে এমন একটি কাজ করার যা নিয়ে দেশ গর্ব করতে পারে। কিন্তু এই দেশে এমন একটি রাস্তাও খোলা নেই যার মধ্য দিয়ে আমরা সঠিক লক্ষ্যে পৌছাব।
আজ যদি একটা ছেলে সুস্থধারায় রাজনীতি করতে চায়,তাহলে সে ঠিকতে পারবেনা।আমাদের নেতারা চান সবাই তাদের কথায় চলুক,তাদের পকেটের লোক হয়ে থাক।কিন্তু আপনারা কি এটা বিশ্বাস করবেন আপনাদের চেয়ে আমাদের ধ্যান ধারনা অনেক আধুনিক।তাহলে আপনারা আমাদের চিন্তা ভাবনা গুলো কেন গ্রহন করবেন না?
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের আবেগটা দেখুন।আমাদের একটাই চাওয়া ছিল,সেটা হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।আমরা যুদ্ধ দেখিনি,কিন্তু চেতনা লালন করছি।কিন্তু আপনারা যারা যুদ্ধ দেখেছেন তাঁরা আজ যুদ্ধের আদর্শ ভুলে গেছেন।
আজ আমাদের লেখকদের সমাজ নিয়ে কোন চিন্তা নেই।লেখক কবিদের সবাই আজ বিভিন্ন দলের অনুগত।একটা নতুন লেখক,নতুন কবিকে আপনারা সুযোগ করে দিচ্ছেন না।তারপরও দেখুন আমরা কিন্তু সুযোগ করে নিচ্ছি।
আমরা কি চাই তা আপনারা ভেবে দেখেন নি।আমাদের সুযোগ করে দিন,দেখুন আমরা কি করতে পারি।
আমরা আমাদের গর্বে বাংলাদেশকে গর্বিত করতে চাই।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত,বিদেশে জন্ম ও বেড়ে উঠা তরুণদের সাফল্যে ইদানিং পত্রিকাগুলোর বুক গর্বে ফুলে উঠছে।তাদের নিয়ে বিশাল ফিচার করা হচ্ছে।অথছ তারা বাংলা ভাষাটাই বলতে পারেনা।দেশ বলতে হয়ত বাংলাদেশ নামক দরিদ্র দেশটাকে চিন্তাও করেনা।
আপনারা এ দেশের আলো হাওয়ায় বেড়ে উঠা তরুণদের নিয়ে লিখুন।একটু খুজে দেখুন এমন অনেক তরুন এ দেশে রয়েছে যাদের জন্য বিশ্ব না হোক অন্তত বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে।


লিখাটি চতুর্মাত্রিক ব্লগ থেকে নেয়া হয়েছে।
No comments

Twitter Update

Recent Visitor