প্রযুক্তি যেন চাপা পড়া সত্যের মুক্তির এক অমোঘ হাতিয়ার। শাহবাগের তারুণ্যের এই দাবির মেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। কী নেই সেখানে? ভিডিও ক্যামেরা বসিয়ে চালু করা হয়েছে ওয়েভ স্ট্রিমিং। চলছে ব্লগিং, ফেসবুকিং, গুগুল প্লাসিং। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে রিপোর্টাররা বলে চলেছেন তরুণদের আন্দোলনের বার্তা। প্রায় প্রতিটি টেলিভিশনই সরাসরি দেখাচ্ছে আন্দোলনের ভিডিও। আর প্রতিটির একই সুর, একই কথা, ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। এক নজরে আপনাদের দেখিয়ে দিচ্ছি প্রযুক্তির কল্যাণে কিভাবে শাহবাগ হয়ে ওঠে এতটা উত্তাল -
=>অনলাইন
থেকেই শুরু হয় প্রথম প্রতিবাদ। ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার
পর তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অনলাইন মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানানো শুরু করেন
ব্লগার, অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা। এরপর রাজপথে নামেন তাঁরা এবং পরের ঘটনা
হয়ে উঠল ইতিহাস।
=====================================
ফেসবুক থেকে আন্দোলনের শুরু
- রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে আন্দোলনের শুরুটা হয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকের ইভেন্ট (http://goo.gl/lndua) থেকে। এতে সাড়া দিয়ে শাহবাগে প্রথমে মানববন্ধন, পরে মিছিল নিয়ে সবাই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।
=====================================
ব্লগে আলোচনা
- রায় ঘোষণার পর প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ শুরু হয় বাংলা ব্লগসাইটগুলোতে।
- প্রথম আলো ব্লগ (www.prothom-aloblog.com),
- সামহোয়্যারইন ব্লগ (www.somewhereinblog.net),
- আমার ব্লগ (www.amarblog.com),
- সচলায়তন (www.sachalayatan.com),
- আমরা বন্ধুসহ (www.amrabondhu.com)
- আরও বিভিন্ন ব্লগে ব্লগাররা লেখেন বিভিন্ন প্রতিবাদী ব্লগ। মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন ব্লগে আন্দোলনের বিভিন্ন হালনাগাদ নিয়ে পোস্ট নির্বাচিত করা হয়। এ ছাড়া ব্লগের ব্যানারেও আসে প্রতিবাদী ছবি।
=====================================