jewelheron2@gmail.com

Thursday, December 20, 2012

২১ ডিসেম্বর,২০১২ নিয়ে যত কথা

5:13 AM

Share it Please
কেয়ামত সন্নিকটে, আমি কখনো বলব না যে কেয়ামত বহু দূর- কারন আল্লাহই কোরআনে উল্লেখ করেছেন যে,“কেয়ামত সন্নিকটে” (সূরা ক্বামার)। কিন্তু একথা বলতে পারি যে কাল পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছেনা। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া খবর “কাল ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী আর থাকছে না।” এই প্রসঙ্গটি যে একেবারে অযুক্তির উপর ভর করে দাঁড়িয়েছে তা কিন্তু নয়। ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার প্রধান যে যুক্তি সেটি হচ্ছে মায়াদের বর্ষপঞ্জি। সভ্যতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন ছিল ২০০০ বছর আগেকার মায়া সভ্যতা। ২৫০ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার বিশাল অঞ্চলজুড়ে বিকাশ লাভ করেছিল এই মায়া সভ্যতা। সে সময় মায়ারা তৈরি করেছিল এক রহস্যময় ক্যালেন্ডার। সেই রহস্যময় ক্যালেন্ডার এর পাঁচ হাজার ১২৫ বছরের বৃত্ত শেষ হচ্ছে আগামীকাল। সবচেয়ে বড় ভয়ংকর ব্যাপার মায়া পঞ্জিকাতে আগামীকাল পর্যন্ত যত ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে তার প্রতিটিই কালের আবর্তে সত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
আর এ কারণেই পৃথিবী ধ্বংসের আশঙ্কা নিয়ে এত বেশি আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু আশার কথা এই যে-এ খবরকে নিতান্তই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার শীর্ষ বিজ্ঞানীরা। সবাইকে আশ্বস্ত করে তারা জানিয়েছেন, সেদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে না। গত শুক্রবার নাসার ওয়েবসাইটে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস হবে না। আমাদের পৃথিবী আরো চার বিলিয়নের বেশি বছর স্থায়ী হবে। বিশ্বব্যাপী নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞানীরা জানেন, ২০১২ সালে পৃথিবীর অস্তিত্বের প্রতি কোনো হুমকি নেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুমেরীয়দের আবিষ্কৃত কল্পিত গ্রহ নিবিরুর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসার একটি দাবি থেকে এ গুজবের জন্ম হয়েছে। ২০০৩ সালের মে মাসে প্রথম পৃথিবী ধ্বংসের পূর্বাভাস দেয়া হয়। কিন্তু সেদিন কোনো কিছু না ঘটায় পৃথিবী ধ্বংসের পরবর্তী তারিখ হিসাবে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসকে উল্লেখ করা হয়। এবার সবশেষে দেখা যাক আমাদের ইসলাম কী বলে? ইসলাম বলে যখন কেয়ামত আসবে তার প্রাক্বালে পৃথিবীর মানুষ ধীরে ধীরে অন্যায় কাজে লিপ্ত হবে। কেয়ামতের আলামত হল মানুষ ঘরে বসেই দূরের খবর জানতে পারবে। উচু ইমারত নির্মান করা হবে। মেয়েরা বেপর্দার সাথে ঘুরে বেড়াবে। সন্তান বাবা মায়ের অবাধ্য হবে। জিনা ব্যাভিচার বেড়ে যাবে। মহানবী (সঃ) বলেছেন – “শেষ যুগে আমার কিছু উম্মত মদ, ব্যভিচার, ঘুষ, সুদ, মিথ্যা কথা বলা এগুলিকে হালাল বলে মনে করবে”। বর্তমানে এগুলো ব্যাপক হারে ঘটে যাচ্ছে। তাহলে কী মায়াদের সাথে এক মত হয়ে বলবেন আজই পৃথিবীর শেষ দিন, না!!! কারণ ইসলাম আরও বলে দজ্জালের আগমন ঘটবে পৃথিবীতে,সে মানুষকে হুমকি দিয়ে পাপ কাজ করাতে চেষ্টা করবে, হাদিসে বলা হয়েছে দাজ্জাল শাসন করবে ৪০ দিন। ১ম দিন ১ বছরের মত, ২য় দিন ১ মাসের মত আর ৩য় দিন ১ সপ্তাহের মত এবং বাকী ৩৭ দিন আমাদের স্বভাবিক দিনের মত।
অর্থাৎ, ১ দিন = ১০০০/১বত্সর = ১০০০ বত্সর
        ১ দিন = ১০০০/১২মাস = ৮৩.৩৩ বত্সর
        ১ দিন = ১০০০/৫২সপ্তাহ = ১৯.২৩ বত্সর
এই হিসাব অনুযায়ী দাজ্জাল তার গোপন এবং প্রতারণাপূর্ণ সংগঠন শুরু করেছে তার অনুসারী ইহুদীদের মাধ্যমে বৃটেনে প্রায় ৯০০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত। যা হল ১০০০ বছর। এইরুপে দাজ্জাল তার ১ম দিন শেষ করল। দাজ্জাল এভাবে ২য় দিনে এবং ১৯১৭ সালে অ্যামেরিকার কাছে এই সংগঠনের ক্ষমতা হস্তান্তর করল এবং সকল ধরনের কার্যক্রম চালু রাখল। ২০০১ সালের ৯/১১ পর্যন্ত যা ৮৩.৩৩ বছর। এভাবে দাজ্জাল তার ২য় দিন শেষ করল এবং তার ক্ষমতা ঈসরাইলের কাছে হস্তান্তর করল। সেই অনুযায়ী এখন চলছে দাজ্জালের ৩য় দিন যা শেষ হবে (২০০১+১৯)= ২০২০ সালে। এরপর আসবে সত্যিকার দাজ্জাল শারীরিক ভাবে যা এখনকার ৩৭ দিনের মত। ঈমাম মাহদি আসার কথাও বলা হয়েছে। তিনি এসে ৭ বৎসর শাসন করবেন। ঈশা (আঃ) এর কথা বলা হয়েছে। তিনি এসে ৪৫ বৎসর পৃথিবী শাসন করবেন। তিনি দাজ্জালকে ২টি তীর দিয়ে মারবেন গেইট অব লুত নামক স্থানে যা ইসরাইল এ অবস্থিত। তাছাড়া এমন একটা ভালো সময়ের কথা বলা হয়েছে যে সময়ে যাকাত নেয়ার মত এক জন মানুষকে খোঁজে পাওয়া যাবেনা।
আমি আপনাদের ভয় দেখাচ্ছি না। এটা জেনে আপনি যদি নিজেকে সংশোধন করেন তাহলেই আমার সাফল্য। অতএব,গুজব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। যেহেতু কেয়ামত সন্নিকটে। তাই আসুন আগে থেকেই সতর্ক হই। আল্লাহ ও রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করি।

0 comments:

Post a Comment

Twitter Update

Recent Visitor